সারাদেশ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে মাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আয়াতুল্লাহ শাহের মাজারে মোমবাতি জ্বালাতে যান যাত্রাপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম মিয়া। এ সময় নুরুল ইসলাম মিয়ার চাচা জজ মিয়ার ছেলে মোশাররফ মিয়া মোমবাতি জ্বালাতে বাধা দেন।
এ সময় নুরুল ইসলাম মিয়া মোশাররফকে বলেন- আমি আয়াতুল্লাহ শাহের মাজারে মোমবাতি জ্বালাতে না পারলে তোকেও মোমবাতি জ্বালাতে দিতে দেব না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোশাররফের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নুরুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নুরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নুরুল ইসলামের স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নুরুল ইসলামের মেয়ে সামিনা বেগম বলেন, আমার বাবাকে মোশাররফ, সাইদুরসহ যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনায় যাত্রাপুর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সি এবং উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ জাবেদ মাহমুদ বলেন, বর্তমানে যাত্রাপুর গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং পরিস্থিতি যেন আর অবনতি না হয় সেজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড