সারাদেশ ডেস্ক
গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ একটি মাছ ধরা ট্রলারসহ ১৮ জেলের সন্ধান মিলেছে। ইঞ্জিন বিকল হলে সাগরে ভাসছিলেন তারা।
১৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে গভীর সাগরে সন্ধান পাওয়ার পর সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রলার মালিক মো. নুরুল ইসলাম।
এর আগে সাগর থেকে জেলেরা ফিরে না আসা এবং তাদের সন্ধান না পাওয়ায় ট্রলার মালিক মো. নুরুল ইসলাম সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় একটি জিডি করেন। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ১১ জনের বাড়ি বরগুনা জেলার গুলিশাখালী ও বাকি ৭ জনের বাড়ি ভোলার নুরাবাদ এলাকায়।
১৮ জেলের মধ্যে বরগুনার গুলিশাখালী এলাকার মো. রিপন, মো. বাবুল, আলমগীর হোসেন, মোশারেফ হোসেন ও ভোলা জেলার নুরাবাদ এলাকার মো. ফারুক মাঝির নাম পাওয়া গেছে।
এফবি হযরত কায়েদ (র.) ট্রলারের মালিক মো. নুরুল ইসলাম জানান, গত ৬ ডিসেম্বর বরগুনার গুলিশাখালী ঘাট থেকে ১৮ জেলেসহ বাজার সাওদা নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওয়ানা হয়। সাধারণত প্রতি ট্রিপ ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই কুলে ফিরে আসে। এ সময়ের মধ্যে না আসায় এবং জেলেদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারায় বরগুনা সদর থানায় জিডি করা হয়েছে। পরে আমরা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহযোগিতায় সাগরে সন্ধানের জন্য ট্রলার পাঠানো হয়। পরে গভীর সাগরে এফবি জিকে-৪ নামে বড় ফিশিং ট্রলার (ভ্যাসেল) আমাদের ট্রলার ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় ১৮ জেলে উদ্ধার করে।
ওই ট্রলারের ফারুক মাঝির বরাত দিয়ে নুরুল ইসলাম আরো বলেন, তাদের ট্রলারের বাজার সদায় শেষ হওয়ায় চার দিন না খেয়ে থেকেছে ১৮ জেলে। উদ্ধারকৃত ট্রলারের জেলেরা তাদের পেয়ে খাবার-দাবার খাওয়াচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিকার সকাল নাগাদ ট্রলার কুলে আসবে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আমরা উদ্ধারকারী জাহাজের মাঝির সঙ্গে কথা বলেছি, বিকল হওয়া ট্রলারসহ উদ্ধারকৃত জেলেদের নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। তারা নেটওয়ার্কের মধ্যে আসার পরে এ তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড