মিরসরাই প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আবদুল মালেক (২৩) ও তার বোন সুমাইয়া আক্তার (১৪)। শ্রবন প্রতিবন্দী আবদুল মালেক রেললাইনে ছবি তুলতে গিয়ে এবং ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সুমাইয়া মারা যান।
মিরসরাইয়ের বাওয়াছড়া লেকে পরিবার নিয়ে বিকেলে ঘুরতে যান নুরুল মোস্তফা। লেক ঘুরে ফেরার সময় রেললাইনে ছবি তুলতে যান নুরুল মোস্তফার বড় ছেলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবদুল মালেক (২৩)। এসময় পেছন থেকে আসা ট্রেনের শব্দ শুনতে পায়নি সে। ট্রেন অতি নিকটে চলে আসায় ভাইকে বাঁচাতে দৌঁড়ে যায় বোন সুমাইয়া আক্তার (১৪)। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া সড়কে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নুরুল মোস্তফা চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তিনি উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের প্যারাগন ফিড মিলে চাকুরী করতেন। মিরসরাইয়ে চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ওয়াহেদপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে নুরুল মোস্তফার স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া লেকে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আসার পথে রেললাইনে ছবি তুলছিল মালেক। সে শ্রবণ প্রতিবন্ধি। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী ট্রেন আসছে দেখে ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বোন সুমাইয়াও প্রাণ হারান। ভাই বোনের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশের ওসি কামরুল হাসান বলেন, মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড