শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের পিছন থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার(২৮ নভেম্বর) সকালে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় লাশটি মাটির সাথে মুখ গুঁজে পড়ে থাকাতে দেখা যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ডামুড্যা থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য মরদেহটি থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাকিব হোসেন সম্রাট তিন মাস হয় ডামুড্যা ফার্মেসির সেলসম্যানের কাজ ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে মাস দুই যাবত হাসপাতালের বাগানে মালীর কাজ করতেন। এর পাশাপাশি ডামুড্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের রোগীদের সেবাও করতেন। তবে এর জন্য রাকিব হোসেন সম্রাট কোন টাকা পয়সা নিতেন না। সে ছিল খুব সৎ ও পরোপকারী একজন মানুষ।
তার নানী নার্গিস বেগম বলেন, বাবা গতকাল বিকালে নাতি আমার বাসায় আইছিল তারপর সন্ধ্যার সময় আমি আমার নাতিকে অনেক বার ফোনকরি তখন আমার নাতির মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাত আর তাকে ফোনে পাইনি, আজ সকালে দেহি ওর লাশ। তোমার আমার নাতিরে ফিরায়া আইনা দাও। তার নানীর দেয়া তথ্য মতে প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে নানীর বাসায় খাওয়া দাওয়া করে রাতে হাসপাতালে চলে আসতো এবং রাতে ঐখানেই থাকত।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে রাকিবের মৃত্যু নিয়ে ডামুড্যা বাজারের সর্বত্র কানা-ঘুষা চলছে যে, রাকিব হোসেন সম্রাটের মৃত্যু খুন, না-কি আত্মহত্যা!
ডামুড্যা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন দৈনিক অধিকারকে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি যুবকের মরা দেহ পরে আছে। সাথে সাথে উদ্ধার করে লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে কিভাবে যুবকটির মৃত্যু হলো।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড