সারাদেশ ডেস্ক
গ্রিড উপ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জের একাংশ। নাভিশ্বাস দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। চারিদিকে শুরু হয় পানির জন্য হাহাকার। শহরের মানুষ ছুটছিল। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে স্বাস্থ্য সেবাও ব্যাহত হতে চলছিল।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৩২ ঘণ্টা পর আশা-নিরাশার দোলাচলে এলো আলোর ঝিলিক। বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি দলের প্রচেষ্টায় নগরের আংশিক এলাকা আলোকিত হয়। আর দীর্ষ ৫৪ ঘণ্টা পর নাভিশ্বাস দুর্ভোগ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ পেলো নগরীর আরও কিছু এলাকা। ক্রমশ; বিপর্যয় কাটিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত মহানগরীসহ অন্তত ৭৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। তবে শতভাগ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখন সবগুলো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ চলছে। তবে শতভাগ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সপ্তাহদিন সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া দু’টি ট্রান্সফরমারের একটি মেরামত করে সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। আর শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে চাহিদা কমে যায়। যে কারণে উচ্চ ক্ষমতার একটি ট্রান্সফরমার থেকে সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ অপর ট্রান্সফরমারটিরও কাজ চলছে। এছাড়া ৩৩ কেভি’র নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপনে কমপক্ষে ৩ মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : তক্ষক কিনতে এসে অপহরণ, বছর বাদে জঙ্গলে মিলল লাশ
এদিকে, গ্রিড উপ কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি। এরমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি, পিজিসিবি’র চার সদস্যের ও পিডিবির ৩ সদস্যের কমিটি রয়েছে।
এ বিষয়ে পিডিবি সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, কি কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড