• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পদ্মাসেতুর ক্ষতিপূরণের দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

  মাদারীপুর প্রতিনিধি

১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩৫
অধিকার
ছবি : সংগৃহীত

পদ্মাসেতুর ক্ষতিপূরণের প্রায় দেড় কোটি টাকা অভিনব কায়দায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখার এক দালাল হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত নূর মোহাম্মদ ফকির।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর শহরের এক আইনজীবীর চেম্বারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ ফকির এক লিখিত অভিযোগে বলেন,পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পের জন্য সরকার তার পৈত্রিক সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। এই অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির এল.এ কেস নং ০৬/২০১৭-২০১৮। সরকারী সমীক্ষা শেষে ওই সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার ৪৩৮ টাকা। বিগত ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সমপরিমাণ টাকার বিপরীতে একটি চেক এল.এ শাখার সার্ভেয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সম্পত্তির মালিক নূর মোহাম্মদ ফকিরের হাতে না দিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা রুবেল হাওলাদারের হাতে দেয়।

প্রতারক রুবেল ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলে নূর মোহাম্মদ ফকিরকে শহরের মাতৃভূমি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার কাছে খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এ সময় আরও কয়েকজন দালাল সেখানে উপস্থিত হয়। নূর মোহাম্মদ ফকিরের কাছে নগদ টাকা না থাকায় রুবেল ও তার সঙ্গীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে দুটি ব্যাঙ্ক চেক নং ৪৫০৯৬২৬ ও ৪৫০৯৬২৭ স্বাক্ষর রেখে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে নূর মোহাম্মদের নামে ইস্যুকৃত চেক ন্যাশনাল ব্যাংক লি., মাদারীপুর শাখায় ১১ সেপ্টেম্বর নূর মোহাম্মদ ফকিরের হিসাব ১১৮৫০০৩৩৭১৮২৮ নম্বরে জমা দিয়ে রুবেল হাওলাদার ওই দিনই তার হিসাব নম্বরে ট্রান্সফার করে নেয়। বিষয়টি ব্যাংক স্টেটমেন্টে উল্লেখ রয়েছে। এ ঘটনার পর টাকার মালিক নূর মোহাম্মদ ফকির ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে নূর মোহাম্মদ ফকির একটু সুস্থ হয়ে চলতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর ও ২০ সেপ্টেম্বর টাকা উদ্ধারের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে দু‘টি আবেদন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ ফকির অভিযোগ করে আরও বলেন, এল.এ শাখার সার্ভেয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রতারক রুবেল হাওলাদার গং যোগসাজশে আমার টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাছাড়া ব্যাংক ম্যানেজার এই বিপুল অংকের টাকা আমাকে না জানিয়ে কোন নিয়ম-নীতির ভিত্তিতে অন্যের একাউন্টে ট্রান্সফার করলেন?

এদিকে এল এ শাখার সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমানকে এ ঘটনার জের ধরে এল এ শাখা থেকে রাজৈর উপজেলায় বদলী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে প্রশাসনিক কারণে তাকে বদলী করা হয়েছে বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানায় ।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ন্যাশনাল ব্যাংক লি., মাদারীপুর শাখার ম্যানেজার আবুল খায়ের সাংবাদিকদের বলেন, কোনো বড় অংকের টাকা প্রদান করতে হলে চেকদাতার সাথে যোগাযোগ করা কর্তব্য। কিন্তু আমি যোগাযোগ না করে চেক বাহককে টাকা দিয়ে দেই। অনেক দিন আগের ঘটনা মনে নেই।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর-এর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমি এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড