হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলমারীর চরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি। আর বর্ষায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ির বিকল্প হিসেবে হেঁটেই নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে হয় চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে হেঁটে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় ঘোড়া ও মহিষের গাড়ির প্রচলন রয়েছে এখানে।
শুষ্ক মৌসুমে বালু বা হাঁটু পানির পথে পণ্য পরিবহন করতে হয় ঘোড়া আর মহিষের গাড়িতেই। তাই শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়া ও মহিষের গাড়ি আর বর্ষায় নৌকার কদর বাড়ে চরাঞ্চলে।
এরই মধ্যে চরাঞ্চলে কৃষিপণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির কদর বেড়েছে। অনেকেই ঘোড়া ও মহিষের গাড়ি চালিয়ে আয় করছেন। সচ্ছলতা এনেছেন সংসারে। গাড়ি চালানোর কারণে তাদের নামেরও পরিবর্তন হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার জমির বাড়ি চর এলাকার ঘোড়া গাড়ি চালক কালাম মিয়া জানান, ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। শুষ্ক মৌসুমে কদর বেড়ে যাওয়ায় আয় বাড়ে। বর্ষাকালে মূল ভূখণ্ডে পণ্য পরিবহন করে আয় করেন তিনি। বর্তমানে ধান মাড়াই মৌসুম চলছে তাই ঘোড়া ও মহিষের গাড়ির কদর বেশি। দৈনিক আটশ’ থেকে হাজার টাকার ওপরে আয় হয়। আর ঘোড়ার খাবারের ব্যয় দুই থেকে তিনশ’ টাকা। বাকি টাকায় চলে সংসার। এলাকার লোকজন তাকে ‘গাড়িয়াল’ বলে ডাকে।
মহিষের গাড়ি চালক আজিত মিয়া জানান, শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে উৎপাদিত সব ফসল পরিবহনে মহিষের গাড়িই বড় ভরসা। দুই মহিষের খাবার খরচ বাদে দৈনিক হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন তিনি। বর্ষা মৌসুমে গাড়ি তেমন একটা চলে না। তাই গাড়ি রেখে মহিষ দু'টি বিক্রি করে দেন। আবার শুষ্ক মৌসুমে কিনে নিয়ে শুরু করেন গাড়ি চালানো।
আরও পড়ুন : লালমনিরহাটে কদর বেড়েছে চুঁই ঝালের!
এখানকার ফসলসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহনে সকলকে ভরসা করতে হয় ঘোড়া ও মহিষের গাড়ির ওপর। এখন চরাঞ্চলের কৃষি পণ্য ও যাবতীয় মালা-মাল পরিবহন করা হচ্ছে। আর এসব গাড়িও শুষ্ক মৌসুমে হাতের নাগালেই থাকে, তাই পরিবহনে কোনো ঝামেলা নেই তাদের।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড