• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নওগাঁয় সঞ্চয় অফিসের মহাদুর্নীতিতে বিপাকে ১১১ আমানতকারী

  কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

১০ নভেম্বর ২০২০, ১০:২০
নওগাঁ

নওগাঁয় জাতীয় সঞ্চয় অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতির মাধ্যমে ৫ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের আমানতকারী ১১১ জন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। প্রায় সোয়া এক বছর অতিবাহিত হলেও তাঁরা তাঁদের ত্রৈমাসিক লভ্যাংশ এবং মুল টাকা কোনটিই উত্তোলন করতে পারছেন না। এর ফলে বয়োজৈষ্ঠ এসব ব্যক্তিরা তাঁদের সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দিনের পর দিন জাতীয় সঞ্চয় অফিস ঘুরে কোন কুল কিনারা করতে পারছেন না এসব গ্রাহক।

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো অফিস নওগাঁ’র এসব গ্রাহক কেউ সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রশিদ দেখিয়ে সঞ্চয়পত্রের বই সংগ্রহ করেছেন আবার কেউ সরাসরি সঞ্চয় অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয়পত্রের বই সংগ্রহ করেছেন। তাদের কেউ কেউ কমপক্ষে ত্রৈমাসিক লভ্যাংশ ৩ বার আবার কেউ কেউ ১০ বার টাকাও তুলেছেন। এর পর এদের মধ্যে ৬২ জন গ্রাহক জানতে পারেন তাঁদের টাকা জমা দেয়ার রশিদ ভুয়া। আবার ৪৯ জন গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হয় যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারি কোষাগারে তাদের টাকা জমাই দেয়া হয় নি।

বিষয়টি জানাজানি হলে রাজশাহী বিভাগীয় দুদক অফিস থেকে তদন্ত শেষে একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রেক্ষিতে ওই অফিসের সহকারী পরিচালক, অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করে দুদক। বর্তমানে তারা সকলেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

আমানতকারীদের মধ্যে ৪৩২/১৮ মোতাবেক আমানতকারী ৫ লক্ষ টাকা, ৪৬৪/১৮ মোতাবেক আমানতকারী ড. আবু সালেহ মো. মুসা ২ লক্ষ টাকা এবং ১২৯/১৮ মোতাবেক আমানতকারী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন তাঁরা ১১১ জন গ্রাহক গত ২০১৯ সালে জুন মাসের পর থেকে ত্রৈমাসিক লভ্যাংশ কিংবা মুল টাকা কোনটাই ফেরত পাচ্ছেন না। গ্রাহকদের অধিকাংশ সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী। এই লভ্যাংশ দিয়েই তাঁদের সংসারের ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে। কাজেই লভ্যাংশ না পেয়ে খেয়ে না খেয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। সবশেষে তাঁরা অতি সম্প্রতি জাতীয় সঞ্চয় অফিসের সামনে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।

এ ব্যপারে বর্তমান সহকারী পরিচালক আসাদ্জ্জুামান বলেছেন সঞ্চয় বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ১১১ জনের হিসাব আপাতত স্থগিত করা রয়েছে। এ ব্যপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা চলমান রয়েছে। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যপারে তাঁর কিছুই করার নেই।

সরকারি একটি দায়িত্বশীল দপ্তরের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য এই সাধারণ আমানতকারীরা কেন তাদের মূলধন হারিয়ে পথে বসবেন এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড