গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বীমার মেয়াদ পূর্তির পর টাকা ফেরত না দিয়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে।
চার বছরে প্রায় ১৪শ গ্রাহকের চারকোটি টাকা আজও ফেরত দেয়নি কোম্পানিটি। গোবিন্দগঞ্জের পশ্চিম চারমাথা এলাকায় অফিস সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের। অফিসের বাহিরে কোন সাইনবোর্ড নেই। প্রতিদিন সকাল থেকেই শত শত গ্রাহক টাকার খবর নিতে আসেন অফিসে। ১৪শ গ্রাহকের ১২ বছর মেয়াদী বীমার মেয়াদ পূর্তি হয়েছে কারো চার বছর কারো তিন বছর হলো। চুক্তি অনুযায়ী পলিসির মেয়াদ উত্তীর্ণের ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের জমানো টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও বীমা পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেলেও গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়নি কোম্পানিটি। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত অফিসে ঘুরে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
সানলাইফের কর্মীরা ভালো নেই জানিয়ে বলেন, আমরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সদস্য সংগ্রহ করে বীমা ইন্স্যুরেন্স করা হয়েছে। তাদের বেশি ভাগ গ্রাহকের মেয়াদ পূর্তি হয়েছে। কোম্পানির সব শর্ত পূরণ হয়েছে, কিন্তু গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না কোম্পানি। গ্রাহকরা আমাদের বাড়িতে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকবার লাঞ্ছনা বঞ্চনাসহ হামলার স্বীকার হয়েছি। ভবিষ্যতে টাকা পাওয়া নিয়ে কর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শাখার জুনিয়র প্রজেক্ট ডিরেক্টর রাহেলা আলম বলেন, প্রায় ১৪ শ গ্রাহকের ১২ বছর মেয়াদী বীমার মেয়াদ ৪ বছর আগে পূর্তি হয়েছে। গ্রাহকের মেয়াদ পূর্তি হওয়া বইগুলো ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। আগামী দু মাসের মধ্যে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে গোবিন্দগঞ্জে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে শাখা খোলা হয়। ৫০ জন কর্মী ও ৪ জন স্টাফ কাগজে থাকলেও বেতন না পাওয়াই বর্তমানে একজন কর্মী ও একজন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে অফিস। এ শাখায় গ্রাহকের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশি রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ১৪শ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে না পারলেও নতুন করে গোপনে সদস্য সংগ্রহ করছে কোম্পানিটি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড