• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অসময়ে বৃষ্টি, ফের মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

  সারাদেশ ডেস্ক

০১ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫২
লোকালয় প্লাবিত
লোকালয় প্লাবিত (ছবি : সংগৃহীত)

অসময়ের বৃষ্টির প্রভাবে ভারত থেকে নেমে আসা হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আরও বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাঁধের ভাঙা স্থানগুলো দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে। গত তিন মাসের আগের প্লাবনের ক্ষত শুকোতে না শুকোতেই আকস্মিক এ বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন এলাকার মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, পুকুর ভেসে যাচ্ছে। বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ২৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর দৌলতপুর এলাকার মোহাম্মদ উল্যাহর বাড়ির পাশে ভাঙন দেখা দেয়।

চেয়ারম্যান জানান, ইউনিয়নের মুহুরী নদী সংলগ্ন ঘনিয়ামোড়া ও দৌলতপুর গ্রামের আরও তিন স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, ফুলগাজী বাজারের পশ্চিম অংশে শ্রীপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ফুলগাজী উপজেলা সদরের মূল সড়কও তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে, পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুরেও মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১টি স্থানে আবারও ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুরে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ভাঙ্গন ঠেকাতে বালির বস্তা তৈরি করে রেখেছিল।

রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গন দেখা দিলে পূর্বে থেকে প্রস্তুতকৃত ৫০-৬০টি বস্তা ফেলে আপাতত সেই ভাঙন ঠেকিয়েছেন এলাকাবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। এর আগে গত ১২ জুলাই মুহুরী নদীর ৬ স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, পানি নেমে গেলে দায়সারাভাবে বাঁধ মেরামত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে মুহুরী নদীতে পানির চাপ একটু বাড়তেই সেই বাঁধ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আবারও সেই একই স্থানগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম মোল্লা জানান, টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভাবে প্রতিবছরই সীমাহীন দুর্ভোগের কবলে পড়ি আমরা। বৃষ্টি হলেই ভেসে যায় কোটি টাকায় নির্মিত মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধ। বন্যায় পানিবন্দি হলে অনেকে চিড়া-মুড়ি নিয়ে আসে। কেউ টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে স্থায়ী সমাধানের কথা বলে না।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড