লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নারী তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তামান্নার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহত খলিলের মরদেহ নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বাড়ির সামনে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। এসময় মহাসড়কে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।
মঙ্গলবার(২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে অবরোধ করেন এলাকাবাসী। নিহত দিনমজুর খলিল মিয়া (৩৪) কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের আবদার মুন্সির ছেলে।
অবরোধকারীরা জানান, উপজেলার কাশিরাম গ্রামের ফজলু মাষ্টারের মেয়ে স্থানীয় উত্তর বাংলা কলেজের প্রভাষক এস. তাবাসুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না সামান্য বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীকে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানী করে গ্রামবাসীকে জীম্মি করে রেখেছে। তার হয়রানীর প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা আমলে না নিয়ে উল্টো তামান্নার মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে প্রায় অর্ধশত নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। কালীগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানী করে আসছেন ওই শিক্ষক। এর হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারী বিভিন্ন দফতরে এলাকাবাসী একাধিকবার গণপিটিশন দিয়েও কোন লাভ হয়নি।
এসময় দুই দিনের সফরে আসা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের গাড়ি বহরও আসতে বিলম্ব হয়। দীর্ঘ যানজট কেটে দুই ঘণ্টা পরে মন্ত্রীর গাড়ি বাড়ির সামনে পৌছলে মন্ত্রী তাদের দাবি ভেবে দেখার অস্বাস্থ্য করলেও তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়নি। বরংচ অসুস্থ মন্ত্রীকে বাড়িতে প্রবেশের সুযোগ দিলেও অবরোধ সচল রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
অবশেষে দুপুর দেড়টার দিকে অবরোধকারীদের কয়েকজনকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। পরে তাদের দাবিগুলো শুনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তামান্নার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দাখিল করা অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড