ঝালকাঠি প্রতিনিধি
দামে বেশি রাখা, মাপে কম দেয়া, গ্রাহকদের সাথে রূঢ় ও অশালীন আচরণ, বরাদ্দকৃত পণ্য কৃষকদের সঠিকভাবে বিতরণ না করাসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ রয়েছে বিসিআইসি কর্তৃক নিয়োগকৃত ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলার ২৯জন ডিলারের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সার বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসাররা অনুপস্থিত থাকা এবং ডিলারের সাথে গোপন আঁতাত করে অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে কৃষি বিভাগের ট্যাগ অফিসারদের বিরুদ্ধে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বেশি অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিসিআইসি কর্তৃক নিয়োগকৃত ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলার ২৯জন ডিলারের মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় সারের ডিলারশীপ রয়েছে ১১টি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কৃষকরা তাঁদের চাহিদা মতো সার নিতে ডিলারের কাছে গেলে তিনি একটি ক্যাশ মেমোতে যথেচ্ছা হিসেব করে সার দেন। ক্রেতার কাছে যেই দাম বলেন সেই দামই ডিলারকে দেয়া হয়। যদি ক্যাশ মেমোতে হিসেব উল্লেখ করে চাওয়া হয় সেখানেই বাধে বিপত্তি। কৃষক তথা গ্রাহকের সাথে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন ডিলার। কারণ সরকারী ভর্তুকি দেয়া সার বিতরণ করে অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। ক্যাশ মেমো দিয়ে কোন ডকুমেন্টস দিতে চাচ্ছেন না গ্রাহককে।
অপরদিকে প্রত্যন্ত এলাকার অসাধু ডিলাররা কাগজে কলমে সার উত্তোলন করে ডিলারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত নেন না। ওই খানেই বেসরকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে অতি মুনাফা অর্জনে ব্যস্ত হয়ে এলাকায় জানান দেন এবার সারের সংকট। তাই আনা সম্ভব হয়নি।
ঝালকাঠি কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, সারের কোন সংকট নেই। ডিলারদের সার দেয়া হয়, আর সরকার সেই সারের ভর্তুকি দেয়। সেই সার কৃষক পাবে না বা কিনতে গেলে হয়রানি হবে তা হতে দেয়া হবে না। ডিলারদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড