সারাদেশ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি থেকে ফেনীতে বান্ধবীর কাছে যাওয়ার পথে রবিবার রাতে এক আদিবাসী তরুণী(১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগে রিকশাচালক মো. রিয়াজ (২৬) ও সেলুন দোকানের কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণী খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। রবিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে তিনি ওই দিন রাত দেড়টার দিকে ফেনীতে এসে পৌঁছে। তার এক বান্ধবী ফেনী চাড়িপুরে বিসিক এলাকায় আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তিনি বিসিকে যাওয়ার জন্য মহিপাল থেকে রিয়াজ নামে একজনের রিকশায় ওঠেন।
রিয়াজ তাকে বিসিক যাওয়ার কথা বলে ফেনী পৌর এলাকার ১২নং ওয়ার্ডের মোক্তার বাড়ি এলাকার একটি ঘরে নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে ধর্ষণ করে বলে ওই তরুণী পুলিশকে জানায়।
এ সময় তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে গভীর রাতে রিয়াজ তাকে নিয়ে আবার বের হয়ে বিসিকের দিকে রওনা দেন। এ সময় ফেনী সদরের আমতলী রাস্তার মাথার কাছে সেলুন কর্মচারী ছোটন তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে পাশে আরেকটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সোমবার ওই তরুণী ফেনী মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ সোমবার রাত ৮টার দিকে মোক্তার বাড়ির কাছে দেয়ানগঞ্জের একটি মেস থেকে রিয়াজকে ও পরে আমতলী এলাকার একটি কলোনি থেকে ছোটনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, রিকশা চালক রিয়াজের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে। তিনি ফেনী দেয়ানগঞ্জে বাবুল মিয়ার কলোনিতে থাকেন।
সেলুন কর্মচারী ছোটন ফেনী পৌর এলাকার ১২নং ওয়ার্ডের হাজারী রোডের একটি সেলুনে কাজ করেন। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ধর্মপুর গ্রামের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার সোমবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা রাতে সম্পন্ন হয়েছে। তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড