সারাদেশ ডেস্ক
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন সংস্কারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কোটাপাড়া এলাকায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন শ্রমিক। তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ঢাঙ্গাইলের নাটেরপুল গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে সোহেল (২৩) ও গাইবান্ধার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত দিদাসার ছেলে আরিফ (২২)।
স্থানীয় সূত্র ও শ্রমিকদের অভিযোগ, শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোটাপাড়া-গাগরীজোড় এলাকায় রবিবার সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে ঠিকাদারের চুক্তিভিত্তিক পারিশ্রমিকে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১টার দিকে সম্প্রসারণ লাইনে সংযোগ (পাওয়ার) চালু করে দেয় শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইড ইন্সপেক্টর রকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা ২৩ জন শ্রমিক নিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের কাজ করছিলাম। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎতের সঞ্চালন লাইন বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ১টার দিকে হটাৎ সঞ্চালন লাইন চালু করে দেয়া হয়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুইজন শ্রমিককের মৃত্যু হয়। চারজন শ্রমিক আহত হয়। পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জুলফিকার আলি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। কীভাবে শ্রমিকরা মারা গেছে তা আমার জানা নেই।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড