অধিকার ডেস্ক
পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মেহেরপুরে রুবিনা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামী মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার শিশিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে রুবিনাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তবে এলাকাবাসী বলছে, নিজ গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ।
নিহত রুবিনা জেলার সদর উপজেলার টেঙ্গারমাঠ গ্রামের রবগুল হোসেনের মেয়ে। চার বছর আগে পার্শ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামের মিলন হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামী মিলন হোসেন একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে চাকরির সুবাদে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এই দম্পতি।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রান্না নিয়ে দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। রাত নয়টার দিকে রুবিনা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। স্বামী মিলনের চিৎকারে বাসা মালিকের পরিবারসহ আশেপাশের লোকজন গিয়ে রুবিনার গায়ের আগুন নেভায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করেন বাসা মালিকসহ আশেপাশের লোকজন।
তবে নিহতের ভাই জব্বার আলীর অভিযোগ, তার বোনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে তার ভগ্নিপতি।
আরও পড়ুন : রোয়াংছড়িতে সাবেক মেম্বারকে গুলি করে হত্যা
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার ওসি দারা শাহ জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড