চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার গোবিন্দপুরে দম্পতি খুনের রহস্য উন্মোচনে মিঠুন আলী নামে একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ১৬৪ ধারায় স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করেন দামুড়হুদা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মানিক দাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ইয়ার আলি ও তার স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় তিন আসামি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে একই গ্রামের ঈমান আলির ছেলে মিঠুনকে আটক করা হয়। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুড়িশিয়াল আদালতে হাজির কর হয়। মিঠুন এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করলে, বিচারক মানিক দাস তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন।এর পর তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, দম্পতি হত্যাকাণ্ডের জট অনেকটা খুলতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তদন্তে মিঠুনের নাম পাওয়া গেলে তাকে আটক করে আদালতে তোলা হয়। মিঠুন আদালতে স্বীকার করে সে সহ কয়েকজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও যারা জড়িত আছে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলতে নারাজ তিনি। উল্লেখ্য, দামুড়হুদার গোবিন্দপুর গ্রামের হিপাত মোল্লার ছেলে ইয়ার আলীকে (৫৫) নিজ শয়নকক্ষের ঘরের খাটের উপর এবং তার তৃতীয় স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। গত ৪ অক্টোবর তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহতদের জামাতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯জনকে সন্দেহভাজন উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় ইয়ার আলীর সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার ভাতিজাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড