সারাদেশ ডেস্ক
জুয়েল মিয়া (৩৫) নামে এক প্রাইভেটকারচালক ৯ মাস আগে নিজের পরিচয় গোপন করে রং নম্বরে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর দুই বন্ধুর ব্যাচেলর ম্যাসে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এই ছাত্রীকে সদরের চুরখাই উইনারপর সিবিএমসি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় জুয়েল।
ধর্ষক জুয়েল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা চান মিয়ার ছেলে। পেশায় সে প্রাইভেটকারচালক। ভিক্টিম কিশোরী ওই উপজেলার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
রবিবার (১১ অক্টোবর) রাতে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় জুয়েল মিয়া ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর সোমবার (১২ অক্টোবর) ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, বুধবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর জুয়েল মিয়া ওই ছাত্রীর বাড়ির পাশে মঠখোলা নামকস্থানে গিয়ে তাকে বিয়ে করবে এসএমএস করে এবং তার সাথে দেখা করতে বলে।
ওই ছাত্রী জুয়েল মিয়ার সাথে দেখা করতে আসলে এখনি তাকে ময়মনসিংহ শহরের কাজি অফিসে নিয়ে বিয়ে করবে বলে একটি সিএনজি দিয়ে নিয়ে আসে। সেখানে জুয়েল তার বন্ধুর অজ্ঞাত ব্যাচেলর ম্যাসে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে।
পরে শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চুরখাই উইনারপর সিবিএমসি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় জুয়েল। ওই দিন স্থানীয়দের সহায়তায় ভিক্টিম নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর জুয়েলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড