সারাদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রবাসী দম্পতির কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের তৎপরতায় মামলা দায়েরের ৫ ঘণ্টার মাথায় পলায়নরত অবস্থায় অভিযুক্ত ধর্ষক মো. সাজ্জাদকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দিতে এ ধর্ষণকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত সাজ্জাদ (২২)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন গাবতল নিবাসী আব্দুশ শুক্কুর ওরফে লেবার শুক্কুরের পুত্র সাজ্জাদ দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তার ছোটবোন (১৫) এর দিকেও হাত বাড়ান তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, নানাভাবে যৌন আহ্বানের পরও সাড়া না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রতিশোধস্বরূপ সাজ্জাদ ওই কিশোরীকে ধর্ষণের সিদ্ধান্ত নেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সন্ধ্যায় ধর্ষিতা কিশোরীকে ফোন করে ডেকে নেন সাজ্জাদ। তারপর সহযোগী আসামি রিপন (১৯) এর সহায়তায় মুখ চেপে ধরে তাকে অপেক্ষমাণ সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করেন সাজ্জাদ। পরদিন ধর্ষিতা কিশোরী সুযোগ বুঝে তার মামাকে ফোন করে নিজ অবস্থান জানান।
সেই অনুযায়ী ধর্ষিতার মামা এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান সাজ্জাদ ও রিপন।
পরবর্তীতে ২ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুরে ধর্ষিতার নানী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় সাজ্জাদ ও রিপনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৫ ঘণ্টার মাথায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা, তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় উপজেলার হালিমপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হেলালুদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দিতে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে নেন সাজ্জাদ।
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া সার্কেল এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সেটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার পাশাপাশি আমরা আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হই। এবং গোয়েন্দার তথ্যর ভিত্তিতে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ধর্ষক সাজ্জাদকে আমরা গ্রেপ্তার করি।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও যখনই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, আমরা বেশিরভাগ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগও দেইনি। তার আগেই আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।
ধর্ষককে গ্রেপ্তারে পুলিশের এই তাৎক্ষনিক পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ধর্ষিতার পরিবারসহ স্থানীয়রা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড