ফেনী প্রতিনিধি
আমনে স্বপ্ন বুনছেন ফেনীর দাগনভূঞার কৃষকরা। চলিত বছর উপজেলায় ৮ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় সবুজে ভরে উঠেছে মাঠ। চারদিক শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। ধানের ক্ষেত যেন দুলছে সবুজের ঢেউয়ে। আর সেই ঢেউ দেখেই সোনালি স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে টার্গেট করা হলেও চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে।
এর মধ্যে ৪৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও স্থানীয় ১২০ হেক্টরে ৮ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহিগোবিন্দ গ্রামের ধান চাষি মাসুদুল হক চিশতি বলেন, বোরো মৌসুমে ৬০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। এবার তার পুরো জমিতেই আমন চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে ফসল ফলিয়েছেন। সেই ফসলের সবুজ ঢেউ এখন তাকে স্বপ্ন দেখায় ভালো ফলন ও ভালো দামের।
সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের আমন চাষি মো. আবুল বশর বলেন, বোরো মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। রোপা আমনে ১০ বিঘা জমিতে তিনি হাইব্রিড ও উপশী জাতের ধান চাষ করেছেন।
আবহওয়া অনুকূলে থাকাসহ প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার ফলনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এ বিষয়ে দাগনভূঞার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উফশী জাতের আবাদ বেড়েছে। বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের হাইব্রিড ও উফশীতে আগ্রহ। এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে।
দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাফিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভাসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের জমিতে এখন আমনের সবুজ ঢেউ খেলছে।
এ বছর উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রার অর্জিত এই ফসলে ২৩ হাজার ৮১২ টন চাল উৎপাদন হবে। তিনি নিজেসহ কর্মরত ১৫ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের তদারকিসহ পরামর্শ দিচ্ছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড