কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে ৫ম দফা বন্যায় আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে আরও ২৫টি চর প্লাবিত হয়েছে। এতে ১২০টি চরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরে সর্বোচ্চ। ধরলা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। জেলার ৯টি উপজেলার ৬৭টি উন্মুক্ত পয়েন্টে ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে।
এ দিকে বন্যায় ঘরবাড়ি, আবাদি জমি, ল্যাট্রিন, নলকূপ পানিতে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা। বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। লোকজন গবাদিপশু নিয়ে আবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো: শামসুজ্জামান মিয়া জানান, পঞ্চম দফা বন্যায় ১৬ হাজার ৭৭৯ হেক্টর ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ১৫ হাজার ৬৯৭ হেক্টর, মাসকালাই ৬৫৪ হেক্টর, শাকসবজি ৩৫০ হেক্টর এবং চিনা বাদাম ৮০ হেক্টর।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চব্বিশ ঘণ্টার রেকর্ডে এ বছরের সর্বোচ্চ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত প্রবহমান থাকবে বলে তিনি জানান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড