• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আত্রাই নদের পানি বিপদ সীমার ২১ সে.ম. উপরে, ৩ উপজেলা প্লাবিত

  নওগাঁ প্রতিনিধি

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৪৯
প্লাবিত এলাকা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে আত্রাই নদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা ২১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে।

শনিবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শিমুলতলী পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ২১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে নতুন করে বন্যায় দেখা দিয়েছে। ফলে জেলার মান্দা, রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন, নওগাঁর শিমুলতলী পয়েন্টে আত্রাই নদের পানির বিপদসীমা ২১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। সর্বশেষ রিডিংয়ে (পানির উচ্চতা পরিমাপ) শনিবার সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে নদের পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই-তিন দিন পানি আরও কিছুটা বাড়বে।

এদিকে পানি ক্রমেই বাড়তে থাকায় ছোট যমুনা নদীর পানি ফুলে উঠে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। শনিবার নওগাঁ শহরের লিটনব্রিজ পয়েন্টে ছোট যমুনা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১৫ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। লিটনব্রিজ পয়েন্টে ছোট যমুনা নদীর পানির উচ্চতা বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় নওগাঁয় দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলার আত্রাই ও মান্দা উপজেলার পাঁচটি স্থানে আত্রাই নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভেঙে ওই দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। বাঁধের ওই সমস্ত ভাঙন স্থান মেরামত না করায় লোকালয়ে আবারও আত্রাই নদের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মান্দার বিষ্ণুপুর ও নুরুল্যাবাদ ইউনিয়ন এবং আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ও বিশা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ডুবে গেছে।

মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'গত জুলাই মাসের বাঁধভাঙা পানিতে প্রায় ২০ দিন ধরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের প্রায় সব কটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ফসলি মাঠগুলোতে কৃষকেরা আমনের চারা রোপন করেছিলেন। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার থেকে জোকাহাট, চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি এলাকায় বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সদ্য লাগানো আমন চারা ডুবে যাওয়ায় আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হলেন কৃষকেরা।'

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড