• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৫৫
জাহিদ ফারুক
নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক (ছবি : সংগৃহীত)

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি। এ সময় তিনি বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনসহ কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে। দ্রুত তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নদ-নদী ভাঙ্গন রোধে ড্রেজিংসহ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বড় বড় নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার হবে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামে পাঁচ দফা বন্যায় জেলার ধরলা,ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়ের বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের বন্যার সমস্যা অতীতেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। উজানে যখন বৃষ্টি হয় তখন পানি এ অঞ্চল দিয়ে নেমে বঙ্গপোসাগরে যায়। ভাটির দেশ হিসেবে সব সময় এটা আমাদেরকে ফেস করতে হয়। নদী ভাঙন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানির কারনে নদী ভাঙনসহ যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নদী ড্রেজিংয়ের বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে বন্যা ও নদী ভাঙনের ক্ষতি থেকে গ্রামবাসী রক্ষা পাবে।

তিস্তায় চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২১টি প্রকল্প নিয়ে ডোনার কান্ট্রির সাথে কথা বলেছি। এরমধ্যে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন আগ্রহ দেখিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নদ-নদী ভাঙন রোধে ড্রেজিংসহ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। নদী ভাঙন এলাকায় আমাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প আছে। এরমধ্যে ১৩৭৬ কোটি টাকা তিনটি চলমান এবং ৭১৪ কোটি ও ৩৮৩ কোটি টাকার আরো দুটি প্রকল্প রয়েছে। কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধায় বন্যার পানি নেমে এসে যে ক্ষতি করছে এটাকে রক্ষা করতে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। নদী ড্রেজিং এ বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে এগুলো শেষ হলে মানুষ রক্ষা পাবে এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা এবং সেই নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছর পূর্বেও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের টাকার কোন সমস্যা নেই। রাতারাতি নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল কমিটিসহ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে সময় প্রয়োজন হয়। তাই তিনি কুড়িগ্রামবাসীকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন। পরে তিনি মোগলবাসা, চিলমারী রমনা এবং উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর, গুনাইগাছ টি-বাঁধের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, বাপাউবো মহাপরিচালক এ.এম. আমিনুল হক, প্রধান প্রকৌশলী উত্তরা ল জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর পওর সার্কেল আব্দুস শহীদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড