• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বন্যার ক্ষত মুছে চাষাবাদে কৃষক

  আব্দুস সালাম বাবু, বগুড়া

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৭
বগুড়া
চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষক

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চলতি বছর তিনদফা বন্যায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদী তীরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে নিন্মাঞ্চলের গ্রাম ও যমুনা চরের কৃষকের ফসলের ক্ষেত বিনষ্ট হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এসব ক্ষেতে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ধুনট উপজেলায় চলতি বছরের বন্যায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের ১০টি গ্রাম এবং বাঙ্গালী নদী তীরের নিন্মাঞ্চলের ১৫৬ হেক্টর আবাদি জমি প্লাবিত হয়। এতে ২হাজার ২০০জন কৃষকের আউশ ধান, পাট, মরিচ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যায় ধুনট উপজেলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়। এরমধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে যমুনার চরা লসহ ১হাজার ৫০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ওই এলাকায় ১হাজার ৮০হেক্টর জমিতে মৌসুমি ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

কিন্তু বন্যায় ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী চর যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যার কারণে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। ধারনা করা হচ্ছে এবছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে চলতি রবি মৌসুমে ধান, সরিষা, চিনা বাদাম, ভুট্টা, মাসইকালাই, ছোলা ও বিভিন্ন শাক সবজিতে চাষাবাদ হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে ফসলের ক্ষেতগুলোতে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক। অধিকাংশ জায়গায় ইতিমধ্যে ধানের চাষা রোপণ করতে দেখা যায় কৃষককে। আবার কোথাও অন্যান্য ফসল চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে কৃষকের ব্যস্ত সময় পার করছেন। বন্যার পর জমির উর্বরতার কারণে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব এলাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য পেলে বন্যার ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারবেন।

বানিয়াজান গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, বন্যার পানিতে পাটের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় আমার ক্ষতি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর ওই জমিতে এখন গাইঞ্জা জাতের ধানের চারা রোপণ করছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে বন্যার ক্ষতি কিছুটা কমে আসবে।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, চলতি বছর কয়েক দফায় বন্যায় ধুনট উপজেলায় প্রায় ১হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকার কৃষক নতুন করে চাষাবাদ শুরু করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১হাজার ৩৩জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় মাসকালাই, শাক সবজি বীজ ও আউশ চারা প্রদান করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড