সাভারে ট্যাপেন্টাডল ও বিয়ার ক্যানসহ গ্রেপ্তার ৫

সাভারের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৩২ ক্যান বেলজিয়ান বিয়ারক্যান ও ৩১৬ পিস ট্যাপেন্টাডল (ব্যথার ঔষধ, ইয়াবার বিকল্প) সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ (নবীনগর ক্যাম্প, সাভার)।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার গনকবাড়ী এলাকার হাসান অ্যাপার্টমেন্টের নিচ তলায় জিয়া ড্রাগ হাউস-২ ও সাভারের হারুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্যসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

ট্যাপেন্টাডলসহ গ্রেপ্তাররা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার পিরুলি গ্রামের মুরাদ শেখের ছেলে নাইম ইসলাম (২১), ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার সাতমেরা গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (২১) ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার বন্দবেড গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে নুর নবী(২২)। তারা তিন জনই জিয়া ড্রাগ হাউজ-২ এর কর্মচারী।

অপরদিকে বিয়ার ক্যানসহ গ্রেপ্তাররা হলেন- সাভারের হারুরিয়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মকবুল আহমেদ ওরফে মুকুল (২৪) ও গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া থানার নারায়নখানা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে হাফিজুর রহমান (২৬)। সে সিংগাইর নিউ মার্কেট সাজেদা ফাউন্ডেশনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতো।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ জানায়, আশুলিয়ার ওই এলাকার জিয়া ড্রাগ হাউজ-২’ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৩১৬ (তিনশত ষোল) পিস অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডলসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা তিন জনই ড্রাগ হাউজ-২ এর কর্মচারী। এর আগেও ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করেছিল র‌্যাব।

অপর দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের হারুরিয়া এলাকায় র‌্যাব-৪ এর একটি আভিধানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন আহমেদ এর নেতৃত্বে ওই এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক এর টিনের ঘরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয় এসময় ৪৩২ ক্যান বেলজিয়ান বিয়ারক্যানসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

নবীনগর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন জায়গা হতে এই বিয়ার ক্যান এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল সংগ্রহ করে আশুলিয়া ও সাভার থানা এলাকায় বিক্রয় করতো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।