রুয়েট শিক্ষার্থীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানকে (১৯) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে তার সৎ ভাই।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হাফিজুর রহমান উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে।

জানা গেছে, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে নিজ বাড়িতে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন হাফিজুর। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৎ ভাই ফজর আলী (৫০) দীর্ঘদিন ধরে হাফিজুর রহমান ও তার মা-ভাইদের অত্যাচার করে। সৎ ভাই ফজর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন হাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন।

একই আঙিনায় বসবাসের সুবাদে বুধবার সকালের দিকে ফজর আলী ও তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন চুলা জ্বালিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী হাফিজুরের ঘরের ভেতর দিতে থাকে। এ সময় ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাসকষ্ট হয়। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন হাফিজুর রহমান ও তার বড় ভাই এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলুল হক অর্ক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফজর আলী ও তার লোকজন হাফিজুরের একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ক্ষতি করে।

পরবর্তীকালে ওই ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফজল আলী ও তার লোকজন কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হাফিজুর রহমানকে গুরুতর জখম করে। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে গেলে ফজলুল হক অর্ককেও মারপিট করেন তারা।

এ ঘটনায় আহত হাফিজুর রহমান ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে ফজর আলী, তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও মেয়ে সনিয়া খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর ফজর আলী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

আরও পড়ুন : মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বগুড়ার ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা দৈনিক অধিকারকে জানান, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যেই এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।