অধিকার ডেস্ক
পুলিশের গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যায় জড়িত সন্দেহে রুবেল শর্মা নামে পুলিশের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে গ্রেপ্তার রুবেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার রুবেল শর্মা টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অন্যতম সহযোগী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মেজর (অব.) সিনহা হত্যায় রুবেল শর্মার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন তথ্য রয়েছে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ওসি প্রদীপসহ আট পুলিশ সদস্য, তিন এপিবিএন সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরই মধ্যে মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ১২ জন।
উল্লেখ্য, পুলিশের গুলিতে গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : গোপালগঞ্জে সাড়ে ৩ লাখ টাকার কারেন্ট জাল ধ্বংস
পরবর্তীকালে ওই ঘটনায় ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। এরপর মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের বরখাস্ত করা হয়।
এ দিকে, সিনহা হত্যার পর পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড