মা-মেয়েকে নির্যাতন, চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

জানা গেছে, আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আটজনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক দৈনিক অধিকারকে বলেন, স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতের বিচারক আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট দুপুরে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা, মেয়ে ও ছেলেসহ পাঁচজনকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত। পরে তাদের রাস্তায় ঘুরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গেলে দ্বিতীয় দফায় তাদের মারধর করেন চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। কিন্তু মা-মেয়েকে নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

আরও পড়ুন : সড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সর ৬ যাত্রী নিহত

পরবর্তীকালে ওই ঘটনায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলামকে। পাশাপাশি এ ঘটনায় পৃথকভাবে জেলা প্রশাসনও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।