সারাদেশ ডেস্ক
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নাটোর পৌরসভার তেবাড়িয়া পালপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে ৫০টি পরিবার। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন এসব পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও কোনো কাজ হয় না। বারবার শুধু আশ্বাসই মিলে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরজমিনে ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগীরা এমন অভিযোগ তোলেন। তবে তারা নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ সময় তারা জানান, নাটোর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকাটি অনেকটাই নিচু। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন এ অঞ্চলের বসবাসকারীরা। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না করার ফলে প্রতিবছরই জলাবদ্ধতার কারণে বারবার দুর্ভোগে পড়তে হয় এখানকার ৫০টি পরিবারের।
এসময় স্থানীয়দের অনেকেই জানান, ওই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এসব বাড়ি করার সময় জায়গা না ছাড়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। কিন্তু পৌরসভা থেকে এ বিষয়টি নিরসনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে নাটোর পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুর রহমান চিনু জানান, তারা ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রাথমিকভাবে শ্রমিকের মাধ্যমে কোনো রকমে পানি যাতে বের করা যায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত ওই এলাকায় একটি গভীর ড্রেন নির্মাণ করা প্রয়োজন। সেটিকে নারদ নদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : সিলেটে নতুন করোনা শনাক্ত ৮২
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, আমরা পৌর এলাকার সব স্থানেই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছি। দ্রুতই এ ব্যাপারে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এলাকাবাসী পৌর কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। আমরা সব সময় নাগরিকের সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করি এবং তা বাস্তবায়ন করি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড