কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ
নওগাঁর রাণীনগরে এলজিইডির আওতায় পাচুপুর-বড়বড়িয়া রাস্তায় দেশ স্বাধীনের পর থেকে কোন প্রকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এই রাস্তাটি উপজেলার শেষ সীমানায় অবস্থিত পাচুপুর, বড়বড়িয়া ও পাশের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার রামনগর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বর্ষাকালে এখনও এই রাস্তায় হাটু কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার কারণে বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলের কৃষকদের আরো চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই খারাপ রাস্তার জন্য ধান চাষে অধ্যুষিত এই অঞ্চলে উৎপাদিত ধান, সবজিসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কৃষকরা সহজেই বাজারজাত করতে পারে না। তাই এই গ্রামগুলোর কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। সরকার যেখানে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে চান সেখানে ৭১-এর পর থেকে প্রায় ৩কিলোমিটার গ্রামীণ এই মেঠোপথে ইট কিংবা পাকাকরনের কোন ছোঁয়া আজোও লাগেনি। আধুনিক রাস্তার সুযোগ-সুবিধা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হয়ে আসছে এই ৩টি গ্রামের প্রায় ২০হাজার মানুষ।
পাচুপুর গ্রামের লোকমান আলী, বড়বড়িয়া গ্রামের হাকিম মোল্লাসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন দেশ স্বাধীনের পর থেকে মাটির এই রাস্তায় আজ পর্যন্ত পাকাকরন তো দূরের কথা কেউ এক ডালি বালি অথবা একটি ইট পর্যন্ত পেড়ে দেয়নি। শুকনো মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বর্ষাকালে পুরো রাস্তায় হাঁটু কাঁদায় পরিণত হওয়ার কারণে একজন মানুষও সহজেই চলাচল করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কাঁদায় পরিপূর্ণ থাকার কারণে ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজেও যেতে চায় না। এই রাস্তাটি বর্তমানে ৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। তবুও কারো সুদৃষ্টি নেই এই রাস্তা দিকে।
একডালা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাসান আলী মোল্লা বলেন এই মাটির রাস্তার কারণে কেউ সহজে এই গ্রামগুলোর মেয়ে কিংবা ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায় না। আমি রাস্তার উন্নয়নের জন্য অনেকবার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন দিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরন করা খুবই প্রয়োজন। এই রাস্তার কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা। কারণ একটি অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি ভালো না হয় সেই অঞ্চলের মানুষদের জীবনমানে কখনোই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না।
আরও পড়ুন : ভোলায় ইউএনওদের নিরাপত্তায় বাসভবনে আনসার মোতায়েন
উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন এই রাস্তার বেহাল দশার কথা জেনেছি। এই রাস্তায় ইট সোলিং কিংবা পাকাকরনের কাজের জন্য চাহিদাপত্র উপর মহলে পাঠিয়েছি। অর্থ ছাড় পেলেই ইট সোলিং কিংবা পাকাকরনের কাজ শুরু করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড