যৌনপল্লী থেকে শিশুসহ তরুণী উদ্ধার, সর্দারনী আটক

ময়মনসিংহের একটি যৌনপল্লী থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার এক তরুণীকে (২১) শিশু সন্তানসহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই ঘটনায় আশা (৩৫) নামে এক সর্দারনীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে রাজবাড়ীর নিজ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাচার হওয়া ওই শিশুসন্তানসহ তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি চৌকস দল ময়মনসিংহের গাংগীনা পাড় যৌনপল্লীতে অভিযান চালিয়ে মৃত হিরু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও সর্দারনী আশার কাছ থেকে শিশু সন্তানসহ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৩ জুলাই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ৩ মাসের শিশুপুত্রসহ এক তরুণী নিখোঁজের একটি জিডি করা হয়। জিডি তদন্তের একপর্যায়ে ফেসবুকের মাধ্যমে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমানের কাছে খবর আসে যে, ময়মনসিংহ যৌনপল্লীতে একটি তরুণী, যৌনকর্মী রূপে বন্দি দশায় রয়েছে। থানায় করা জিডির নামের সাথে যৌনপল্লীতে বন্দি তরুণীর নামের মিল থাকায় তাৎক্ষণিক গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নিকট বিষয়টি জানান। এরপর তার নির্দেশে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের গাংগীনা পাড় যৌনপল্লী থেকে শিশুসন্তানসহ ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন : ২২ দিনের সন্তান রেখে গৃহবধূর পলায়ন চেষ্টা

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারকৃত তরুণী সাংসারিক অশান্তির কারণে গত ১৩ জুলাই স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে নারী পাচারকারীদের খপ্পরে পরে। পরে পাচারকারী চক্রটি চাকরির প্রলোভনে ওই তরুণীর বিশ্বাস জয় করে। এরপর কৌশলে ওই তরুণীকে তার ৩ মাসের শিশুপুত্রসহ ময়মনসিংহের যৌনপল্লীর সর্দারনী আশার নিকট বিক্রি করে পাচারকারীরা। পরে যৌনপল্লীর সর্দারনী আশা ৩ মাসের শিশুপুত্রকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে রাখে এবং ওই তরুণীকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে।