সারাদেশ ডেস্ক
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে গণমানুষের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী চিকিৎসক, উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. সাহেদ ইমরান।
বৈশ্বিক এই মহামারিতে একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি। রোগীদের সুস্থ করে তুলতে তার অনবদ্য পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।
উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের চেয়ে বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারিতে মানুষের সেবা করাটাই এখন জরুরি বলে মনে করেন ডা. সাহেদ ইমরান।
ডা. সাহেদ ইমরান বলেন, চিকিৎসক হিসেবে প্রথম দায়িত্ব রোগীর সেবা করা। জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ দুঃসময়ে চিকিৎসক হিসেবে নিজের জীবনের চেয়ে রোগীর জীবনের মূল্য আমার কাছে অনেক বেশি। অজানা অচেনা শত্রু হিসেবে করোনা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এ মহামারিতে চিকিৎসকের জীবনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তা জেনেও দেশের চিকিৎসকরা জীবনবাজি রেখে প্রতিনিয়ত করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন। এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে শতাধিক চিকিৎসক অকালে মৃত্যুবরণও করেছেন।
তিনি বলেন, করোনাকালে আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা আমাদের জীবনে থেকেই যাচ্ছে। এখন নব স্বাভাবিকত্ব অথবা নিউ নরমাল লাইফ মেনে নিয়েই আমাদের জীবন পরিচালিত করতে হবে। আমাদের নতুন স্বাভাবিক জীবন চালিত করতে হবে, তাই নিজেকেই করোনা থেকে সুরক্ষিত রেখে চলার কোনো বিকল্প নেই।
ডা. সাহেদ বলেন, যে আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছি, আমি বিশ্বাস করি মানুষ যদি সামাজকে নিয়ে বেড়ে ওঠে তাহলে অচলাবস্থা থেকে সামাজিক ব্যবস্থাকে সচল অবস্থায় এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে সামাজিকভাবে নেতৃত্ব দেয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। এখন সময় এসেছে সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঈশ্বরদী- আটঘরিয়ার মানুষের জন্য কিছু করার।
ডা. সাহেদ বলেন, করোনা মহামারীর এ সময়ে ৩৫০০ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলাই যথেষ্ট নয়। সংখ্যায় আবদ্ধ না থেকে আমরা ভয়কে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
বিগত সময়ের কথা উল্লেখ করে ডা. সাহেদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন পেশাজীবী সংগঠক হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। ইচ্ছা ছিল সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। পেশাদার মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করার প্রবল ইচ্ছা থেকেই এমন ভাবনার আশা পোষণ করেছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন করোনা যেমন অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় বাধা তেমনি মানুষের সেবা করারও এটি বড় সুযোগ। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি করোনাকালীন এই বৈশ্বিক দুর্যোগে মানুষের পাশেই থাকতে চাই। নির্বাচনে অংশ নিয়ে এখন মানুষের সেবা করার আরও একটি বড় সুযোগ এসেছে, আমি সে সুযোগকে মানুষের জন্য কাজে লাগাতে চাই। একজন রোগী যখন অসহায় হয়ে পড়ে তখন সেই অসহায় মানুষটিকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার মধ্যে যে আনন্দ, একজন চিকিৎসক হিসেবে এবং একজন মানুষ হিসেবে এটি আমার জন্য অনেক আনন্দদায়ক।
ঈশ্বরদীর পাকশীতে জন্মগ্রহণ করেন ডা. সাহেদ ইমরান। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি। বাবা-মা দুজনই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তারা একমাত্র সন্তানকে এখনো শিশুর মতো আগলে রাখতে চান, কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই বৈশ্বিক দুর্যোগে তাদের সন্তানটি যে করোনাযুদ্ধে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন।
ডা. সাহেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ শেষে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ঈশ্বরদীর এই কৃতীসন্তান এই জাতীয় দুর্যোগে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে শামিল রেখেছেন। সাধারণ রোগীর চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ চিকিৎসাসেবা প্রদান করে এই চিকিৎসক ইতোমধ্যে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড