রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি শহরের মধ্যে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ও বিক্রি করা হচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার বেশী দামে বিক্রির অভিযোগ ক্রেতাদের। রাঙামাটি শহর জুড়ে অধিকাংশ মুদি দোকানে অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে মরণ ঘাতক গ্যাস সিলিন্ডার।
শহরের মধ্যে মুদি দোকানের সামনে অর্থাৎ ফুটপাতে রাখা এসব গ্যাস সিলিন্ডার যে কোন সময়ে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এছাড়াও শহরের প্রধান সড়ক ঘেঁষে অনেক ছোট ছোট দোকানগুলো অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে পেট্রোল ও ডিজেল।অপর দিকে ব্যবসায়ীদের সুবিধা মত একেক দোকানে একেক দরে বিক্রি করা হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।
গ্যাস ক্রেতা আশিক ও আবদুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, সরকারি গ্যাস এলপি খুচরা মূল্যে বিক্রি করার কথা ৬শ’টাকা। কিন্তু সে গ্যাস বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮-৯শ’ টাকা পর্যন্ত। এই যে বৈষম্য তার শেষ কোথায়? এভাবে গ্যাস ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপর দিকে ওমেরা, বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বাজারে সয়লাব। এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিভিন্ন জনে বিভিন্ন দরে বিক্রি করছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্রেতারা। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই যে যার মত করে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, যদি কেউ অবৈধ ভাবে ও বেশী দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার পরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরেজমিনে পাঠিয়ে তার তদন্ত করা হবে।
পেট্রোল ডিলার ও রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, যথাযথ তদারকির অভাব রয়েছে। এছাড়াও যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল বিক্রির বৈধ কাগজ পত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। পেট্রোল বিক্রির ক্ষেত্রে বিস্ফোরক লাইসেন্স আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব ও প্রশাসনের। তবে এসব ব্যবসায়ীরা সঠিক বা বৈধ লাইসেন্সধারী কি না তাও দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এব্যাপারে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে সচেতন হতে হবে।
খুচরা গ্যাস ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ছোট পরিসরে কয়েক বোতল গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছি। তবে নিয়মের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করছি না।
আরও পড়ুন : সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যান চাপায় চিত্রশিল্পী নিহত
রাঙ্গামাটি শহরের মধ্যে যে সব গ্যাস বিক্রি হচ্ছে যেমন-এলপি, এলপি বসুন্ধরা, ওমরা, ইউরো, টুটাল, বিএম ও বেক্সিকো। এসব গ্যাসের খুচরা মূল্যের চেয়েও বেশী দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি বোতলে ২-৩শ’ টাকা বেশী নিচ্ছে অনেক দোকানদার।
গ্যাস ডিলার মো. জসিমকে দু’বার ফোন করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড