ফরিদপুর প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে সহোদর দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। একই ঘটনায় নিহতদের এক ভাগ্নে ইমন গুরুতর আহত হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হাউলি গঙ্গাধরদি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সঙ্গে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- গঙ্গাধরদি গ্রামের গিয়াসউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে শামীম মাতুব্বর (২৫) ও তার ছোট ভাই রকিব মাতুব্বর (১৭)।
এর মধ্যে নিহত শামীম পেশায় ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করত। সোমবার ভোরেই সে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে। আর তার ছোট ভাই রকিব গঙ্গাধরদি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
হাসপাতালে ভর্তিরত আহত ইমনের বাবা মইনুদ্দিন মাতুব্বর দৈনিক অধিকারকে বলেন, রবিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে বাড়ির পাশের বিলে পুঁটি মাছ ধরার জন্য আবর্জনা পরিষ্কার করে রকিব সেখানে কারেন্ট জাল পেতে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর প্রতিবেশী ছদ্দাক মাতুব্বরের ছেলে জামাল (২৫) এসে রকিবের জাল সরিয়ে সেখানে নিজের জাল ফেলে। পরবর্তীকালে সন্ধ্যায় রকিব এসে জামালের জাল গুটিয়ে ডাঙ্গায় তুলে রাখে। এ নিয়ে জামাল ক্ষিপ্ত হয় এবং গালিগালাজসহ মারপিটের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক দৈনিক অধিকার বলেন, সোমবার ভোরে জামাল ও তার ভাইয়েরা একত্রিত হয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় এসে শোরগোল করতে থাকে। এ সময় শামীম ও রকিব এগিয়ে গেলে রামদা দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এতে শামীম ঘটনাস্থলেই এবং রকিব হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।
আরও পড়ুন : রশিতে বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন, শিগগিরই ব্যবস্থার আশ্বাস মন্ত্রীর
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) গাজি রবিউল ইসলাম ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) গাজি রবিউল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘এ ঘটনার পর ছদ্দাক মাতুব্বর (৭০) ও তার এক ছেলে সালাম মাতুব্বরকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র ঢাল, শড়কি, টেটা ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বাকি আসামিদের দ্রুত ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড