রশিতে বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন, শিগগিরই ব্যবস্থার আশ্বাস মন্ত্রীর

গরু চুরির অভিযোগে বৃদ্ধা মাসহ তরুণী মেয়েকে রশিতে বেঁধে এলাকা ঘোরানো ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

ঘটনা জানার পর মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

শুক্রবারের (২১ আগস্ট) ওই ঘটনাটি শনিবার (২২ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম তাদের মারধর করেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রকাশ্যে রশিতে বেঁধে পেটাতে পেটাতে গ্রামে ঘোরানো ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আবার চেয়ারম্যানের মারধরের বিষয়টি ন্যক্কারজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অনেকেই দাবি করছেন।

এরই জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে এই ঘটনাকে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য চেয়ারম্যানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা যায়নি।

স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির এমন মারধরের বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম রবিবার বিকালে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন : মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে পুরো গ্রাম ঘোরালেন স্থানীয়রা!

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

এ দিকে, গরু চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই দুই মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে পুরো গ্রাম ঘোরালেন স্থানীয়রা!

অন্যদিকে, বৃদ্ধ মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে মারধরের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যথায় তিনি বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনবেন বলেও জানিয়েছেন। এ সময় প্রশাসন এবং পুলিশের ডিআইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’