এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও গ্রামের গোপীগঞ্জ এলাকায় মুরগীর খামারের আড়ালে জমজমাট মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কামরুল নামে এক বখাটে। এতে করে ওই গ্রামে বেড়ে গেছে মাদকসেবীদের আনাগোনা আর নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এনিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত আবেদন করলেও কোন ফল হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নন্দিরগাঁও গ্রামের গোপীগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ১২/১৫ বছর আগে একটি বয়লার মুরগীর খামার স্থাপন করে এলাকার পাটোয়ারী বাড়ির মোজাম্মেল হক মজু মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৫)। এই খামারের আড়ালে রাতে সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেল সহ নানা মাধ্যমে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করে আসছে সে। এ কাজে স্থানীয় টুকা মিয়ার ছেলে ইলিয়াস (৫০), পেয়ার আহাম্মদের ছেলে জালাল আহাম্মদ (২৭), এয়ার আহাম্মদের ছেলে তারেক (২০), পার্শ্ববর্তী পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের জামাল ভেন্ডার বাড়ির বাচ্চুর ছেলে মো. সুমন অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে।
রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঞার সময়কালে তিনবার মাদক সহ কামরুল ইসলাম গ্রেফতার হয়েছে। পরবর্তীতে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়। গভীর রাতে মাদক ব্যবসার বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান কাশেদুল হক বাবর গোপিগঞ্জে স্থানীয় নুরুল ইসলাম কোম্পানির জানাজাপূর্ব বক্তব্যে মাদক ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করেন। কিন্তু কামরুল ও তার সহযোগীরা তাতে কর্ণপাত না করে মাদক বিক্রি ছড়িয়ে দিয়েছে ভয়াবহভাবে।
অন্যদিকে কামরুল সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা ইলিয়াসকে এলাকাবাসী ইতিপূর্বে গাঁজাসহ আটক করে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করে। ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে। কারাগার থেকে বের হয়ে এসে আবার মাদক সিন্ডিকেটে সক্রিয় হয় সে। এছাড়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টে ৫ কেজি গাজাসহ আবার পুলিশের হাতে আটক হয় কামরুল।
স্থানীয় সমাজসেবক জাফর ইমাম বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সবুজ মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললে কামরুল নিজেই মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সবুজের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করেন। এনিয়ে যে কথা বলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কামরুল সিন্ডিকেট। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করলেও কামরুল গংরা প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গলী দেখিয়ে দেদারসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে ছাত্র ও যুব সমাজকে মাদক ভয়াল গ্রাস থেকে বাঁচাতে এলাকাবাসী সম্প্রতি ফেনী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে। আবেদনের প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
আরও পড়ুন : জামালপুরে ডেপুটি সিভিল সার্জনসহ ১৪জনের করোনা শনাক্ত
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ ন ম কাশেদুল হক বাবর জানান, গোপিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানটি সন্ধ্যার পরই মাদকের অভয়ারণ্য হয়ে যায়। কামরুল মাদকাসক্ত হওয়ায় ভয়ে স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসে না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড