• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুড়িগ্রামে ৪৩০ ভাঙন কবলিত পরিবারকে সহায়তা

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

২২ আগস্ট ২০২০, ১২:০৯
কুড়িগ্রাম
১৫টি গ্রামে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভাঙন কবলিতদের স্থানান্তরের জন্য নগদ ২১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবের ইউনিয়ন ও চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ১৫টি গ্রামে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভাঙন কবলিতদের আগাম পূর্বাভাস দেয়াসহ তাদের স্থানান্তরের জন্য নগদ ২১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ভাঙনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সিইজিআইএস (সেন্টার ফর ইনভাইরনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস) ও স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন সলিডারিটি’র সাথে এই দুই ইউনিয়নে বিপদ সংকেত সম্পর্কে সচেতন করতে লাল ও হলুদ পতাকা স্থাপন করে ভাঙন কবলিতদের ক্ষতি কমাতে শতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এছাড়াও এই কর্মসূচির মাধ্যমে শনিবার সকালে রৌমারী উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নে অবস্থিত খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খোদাইমারী সরকারি বিদ্যালয়সহ মোট ৪টি স্কুলে বিদ্যুতের সরঞ্জামাদি ও গাইউ ওয়ালের কাজ উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক এস.এম হারুন অর রশীদ লাল, প্রজেক্ট ম্যানেজার আলেয়া বেগম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার এমডি আব্দুর রউফ, প্রজেক্ট অফিসার কিশোর কুমার রায়, খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নুরুল হক, প্রধান শিক্ষক কাওছার পারভীন, কুড়িগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, চর রাজিবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান প্রমুখ।

দাতা সংস্থা স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের আর্থিক অনুদানে ও কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় দুটি ইউনিয়নে ৬ মাসের পরীক্ষামূলক কর্মসূচিতে নদী তীরবর্তী ৪৩০জন ভাঙন কবলিতদের প্রত্যেককে নগদ ৪ হাজার ৫শ’ টাকা ও হাইজিন কিটস হিসেবে বালতি, মগ, ন্যাপকিন, সাবান, সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন কবলিতরা আগাম পূর্বাভাসের মাধ্যমে বাড়িঘর সড়ানোর ফলে তারা ক্ষতি কমানোর সুযোগ পায়। এছাড়াও বাড়িঘর স্থানান্তরের জন্য আগাম অর্থ পাওয়ায় খুশি উপকারভোগীরা।

রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদনদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এরকম প্রকল্প চালু হলে ভাঙন কবলিতদের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং ক্ষতি কমানোর জন্য আর্থিক অনুদান দিলে তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে।

আরও পড়ুন : জোয়ারে পানিবন্দী গৃহবধূর সাপের কামড়ে মৃত্যু

স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন সলিডারিটি রিভার ব্যাংক ইরোশন প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি উপজেলার ভাঙন কবলিত দুটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে সরাসরি ৪৩০জন উপকারভোগী, ৪টি স্কুলসহ প্রায় ১৫ শতাধিক পরিবারকে আগাম পূর্বাভাস দিয়ে এই এলাকার মানুষকে ভাঙনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড