মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া- হাসাইল ও কামারখাড়া- আদাবাড়ি সড়কের বাইনখাড়া এলাকার দুইটি ব্রিজের এপ্রোচ ধসের এক মাসেও সংস্কার হয়নি। ফলে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রামের অর্ধলক্ষ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর আগে গত ১৫ জুলাই ওই সংযোগ সড়কের দুইটি ব্রিজের এপ্রোচের মাটি ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ফলে ওইদিন থেকে সম্পূর্ণভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধাসহ প্রায় ২০ টি গ্রামের মানুষের সাথে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর ও ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে হাজার মানুষের।
সোমবার (১৭ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উজান থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানির স্রোতে উপজেলার ভাঙুনিয়া এলাকার দুইটি ব্রিজের দুই পাশের এপ্রোচ সংযোগ সড়কের মাটি ধসে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রোডে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত প্রায় ১০ বছর আগে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে নদী সংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার ব্রিজ দুটির এপ্রোচের মাটি কয়েকবার ধসে গেলে এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে ব্রিজ দুটির নিচে দেয়াল নির্মাণ করে স্রোতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এ বছর বন্যার কারণে ওই ব্রিজ দুটি যে রাস্তায় অবস্থিত সে রাস্তার ভাঙ্গনিয়া নামক স্থানে তীব্র স্রোতের কারণে রাস্তা ভেঙে যায়। পরে ওই ব্রিজ দুটির নিচের দেয়াল ভেঙে ফেলে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। এতে ব্রিজের নিচ দিয়ে তীব্র স্রোতে প্রবেশ করায় ব্রিজ দুটির এপ্রোচ ধসে পড়ে বলে জানান এলাকাবাসী। এ সময় প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনাকে দায়ী করেন তারা। জরুরি ভিত্তিতে এপ্রোচ সংযোগ সড়কের দ্রুত মাটি ভরাট করে জনদুর্ভোগ লাঘবে জন্য জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হালদার বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর আমি আমার টাকা দিয়ে ওই স্থানে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি। ফলে লোকজন পায়ে হেটে যাতায়াত করতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে ওই ব্রিজের নিচের দেয়াল না ভাঙার জন্য আমি অনুরোধ করেছিলাম। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ার দেয়াল ভাঙার সিদ্ধান্ত দেন। পরবর্তীতে দেয়ালটি ভেঙে ফেললে ব্রিজ দুইটির এপ্রোচ ধস হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন : এমপি’র সুপারিশেও কাজ হল না বিধবা কবিজন নেসার এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এপ্রোচ ভেঙে যাওয়া ব্রিজের স্থানে আরো দুটি কালভার্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্যার পানি কমার সাথে সাথে এপ্রোচ দুটির গোড়ার মাটি ভরাট করে ওই রাস্তা যানচলাচল উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড