শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের মহা-সচিব ও জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রাজ্জাক পিন্টু সহ তার পছন্দের মেম্বার ধানকাঠি ৩ নং ওয়ার্ডের জয়নাল বেপারির বিরুদ্ধে গরিবের চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগটি করেন, পিন্টু চেয়ারম্যানের প্রতিবেশী ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সায়েস্তা খান (আবুল)।
১৪ আগস্ট শুক্রবার তিনি দৈনিক অধিকারকে বলেন, ২ বছর মেয়াদি মোট ৩৭২ টি কার্ড আছে। আমি ৪ বছর মেম্বার হয়ে দেখতেছি ৩৭২টি কার্ডের ভেতর তারা এই ১৫ টি কার্ডের চাল বিক্রি করে। আমি জিজ্ঞেস করলে বলে, এটা ডামুড্যা থেকে চাল আনা নেয়ার খরচ। বাইদাবাই আমি অফিস থেকে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি যে, এটার খরচ সরকার দেয়। তাহলে আমি গরিবের মাল খাবো কেন? একবার আমি জয়নাল মেম্বার সহ চাল আটকিয়ে দিছিলাম। পরে চেয়ারম্যান এসে বলে, সরকার যা খরচ দেয় তাতে হয় না। তাই এই কার্ডের চাল বিক্রি করি।
তখন আমি বলি, এভাবে না নিয়ে আমরা কার্ড প্রতি ১০ টাকা করে নিতাম। এছাড়াও আমরা ১২জন মেম্বার মিলে কিছু দিতাম। চেয়ারম্যান বলে, এই চাল বিক্রি করে তোদের সবাইকে আপ্যায়ন করাই। তখন আমি বলি গরিবের টাকা দিয়ে আপনি আমাদের আপ্যায়ন করাবেন কি জন্য। এখন যাদের নামে কার্ড হইছে তাদের প্রত্যেককে ৪ বছরের চাল দিতে হবে।
আমার কাছে মোট ১৯ জনের তথ্য আছে। এরা কেউ জানেই না তাদের নামে চালের কার্ড আছে।
এটা ২ বছর মেয়াদি চালের কার্ড। প্রতি মাসে জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। আমার ওয়ার্ডে সবুজ খাঁ'র স্ত্রি মাহমুদা, সোহাগ খাঁর স্ত্রী বিউটি, সহ প্রায় ৭/৮ জনের নামে কার্ড রয়েছে। তারা কেউ ২ বছরে চাল পায় নাই। আমি মেম্বারি করি ৪ বছর ২ মাস। এতো বছর ধরে এরকম আরও মানুষের নামে কার্ডের চাল আত্মসাৎ করেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এছাড়াও গভীর নলকূপ দিয়ে ১৫/২০ হাজার টাকা বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।
২ বছর মেয়াদি এই কার্ডে জনপ্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। এভাবে ১৯ জনের বছরে ছয় হাজার আটশ চল্লিশ কেজি চাল আত্মসাৎ করছেন বছরের পর বছর। ৮ নং ওয়ার্ড শিল্পি, বিউটি ও মাহমুদা বলেন, আমরা মেম্বারের কাছে জেনেছি। আমাদের নামে ব্যাংকে একাউন্ট করে চালের কার্ড হয়েছে। কিন্তু আমাদের কখনো এই চাল দেয়নি। আমরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কখনো কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি।
ধানকাঠি ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল বেপারি বলেন, আমার নামেতো চালের ডিউ হয় না। ডিউ হয় চেয়ারম্যানের নামে। আপনারা তার কাছে জিঙ্গাসা করেন। এ ব্যপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।
আরও পড়ুন : ট্রাকচাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু
১৫ আগস্ট শনিবার এ ব্যাপারে ধানকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু মুঠোফোনে অস্বীকার করে বলেন, কেউ প্রমাণ করতে পারলে, আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড