চার মাস জিম্মি রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

অপহরণের পর সাড়ে চার মাস জিম্মি রেখে ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি রেজাউল করিমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার রেজাউল করিম উপজেলার শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার (১০ আগস্ট) মধ্যরাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রূপনগর এলাকার একটি বাসা থেকে রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার জিম্মিদশা থেকে অপহরণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাশ করেছে ওই স্কুলছাত্রী। দুই সস্তানের জনক রেজাউল করিম বিশ্বহরিগাছা গ্রামের বন্ধু সুজন মিয়ার মাধ্যমে কয়েক মাস আগে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রেজাউল করিমের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৬ মার্চ বিকালের দিকে মেয়েটিকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে বন্ধু সুজনের সহযোগিতায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে নেয় রেজাউল করিম। এরপর মেয়েটিকে গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রূপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় জিম্মি রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ২৭ মার্চ ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রেজাউল কমির ও তার সহযোগী সুজন মিয়াকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন : গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, ভাসুর-জায়ের ৫ দিনের রিমান্ড

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা দৈনিক অধিকারকে বলেন, উদ্ধারকৃত ছাত্রীর জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য তাকে বগুড়া আদালতে এবং মামলার প্রধান আসামি রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।