সারাদেশ ডেস্ক
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুটিজুরীর আবদা নারায়ণ কালীবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেলের স্ত্রী শাহিদা (৩৫), পিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা (৩৫) ও নিহত প্রাইভেটকার চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর থেকে ইদুল আজহার ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে ইদ করতে পোশাক শ্রমিক শাহিদা স্বামীসহ একই এলাকার তিন সহকর্মীকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে প্রাইভেটকারযোগে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরীর আবদা নারায়ণ কালীবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদী পরিবহনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলে চালক ও মালেহা নিহত হন এবং চারজন গুরুতর আহত হন। পরে বাহুবল হাসপাতালে নেয়ার পর পোশাক শ্রমিক শাহিদা মারা যান।
আহত অন্যরা হলেন- সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পিরোজ মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫), শুক্কুর আলীর ছেলে রুহুল (৩০) ও শহিদ মিয়ার মেয়ে নাজমা (৩০)। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। সেই সঙ্গে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার সড়ক থেকে সরিয়ে আধাঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন : আজকের মৃত্যুর সংবাদ
সিলেটে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনা কেরে নিল ৫টি প্রাণ
কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ মাদক কারবারি নিহত
সিরাজগঞ্জে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
নন্দীগ্রামে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাপায় এনজিও কর্মী নিহত
বাহুবল মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, প্রাইভেটকার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কারণে হয়তো এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। নিহত প্রাইভেটকার চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত অপর দুইজন পোশাক শ্রমিক। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড