সারাদেশ ডেস্ক
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নিয়ামতপুরের রোহা গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ উদ্দিন। দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজকরণ করে অল্প সময়েই এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। বন্যার মধ্যেই তার খামারে ছুটে আসছেন গরু ক্রেতারা।
করোনার প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে যখন লকডাউন ছিল তিনি তখন ঢাকা হতে নিজ এলাকায় এসে অবসর সময় না কাটিয়ে উদ্যোগ নেন গরু খামারের। ৬০টি দেশি-বিদেশি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণেরও উদ্যোগ নেন।
আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে উন্নত জাতের প্রায় ৬০টি গরু মোটাতাজাকরণের কাজ করছেন তিনি। আশা করছেন, প্রতিটি গরু তিন থেকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
খামারের জন্য এরশাদকে দিতে হয়েছে প্রচুর পরিশ্রম। বিনিয়োগ করতে হয়েছে এককালীন বড় অংকের টাকা। তিনি বলেন, ‘আমাদের খামারে ক্রেতা যেন হয় তাই ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে গরুর লাইভ ওয়েট নির্ণয় করা হয়। তাতে ক্রেতার গোস্তের সঠিক আইডিয়া পেতে সুবিধা হয়, ক্রেতাদের ঠকার কোন সুযোগ নেই। খামারে সবুজ ঘাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। গরুর খাবারের জন্য আমার বাড়ির পাশেই কয়েক একর জায়গায় উন্নত জাতের ঘাসেরও চাষাবাদ করেছি।’
এরশাদ চিন্তা করছেন খামার আরও সম্প্রসারণের, গরুর সংখ্যা অন্তত ৫০০ করা। এতে করে একদিকে যেমন এলাকার বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারলে চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষিত তরুণদের এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এরশাদ উদ্দিন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড