ফেনী প্রতিনিধি
পবিত্র ইদুল আযহাকে ইদকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো ফেনীতেও কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গরু-মহিষ আর ছাগলে কানায় কানায় পূর্ণ হলেও হাটগুলোতে দামে স্থিতিশীলতা নেই। হাটের এক প্রান্তে বেশি ও অপর প্রান্তে কম দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু।
বুধবার(২৯ জুলাই) সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বিক্রেতা লোকসানেই বিক্রি করেছেন। আবার অনেকে ভালো দাম পাওয়ার আশায় শেষ দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন। গরু সংকট দেখা দিবে ভেবে দাম বাড়ার আশংকায় অনেকে অধিক মূল্যেও কিনেছেন। বিক্রেতাদের মতে, এবার গরু নিয়ে বড় ক্ষতির মুখে তারা। লোকসানেই বিক্রি করতে হবে। মৌসুমি বিক্রেতারা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ফলে বিক্রি করতে পারাটাও তাদের লক্ষ্য।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৮৫ হাজার পশু। স্থানীয় লোকজন ও খামারিদের কাছে পশু মজুত আছে ৭২ হাজার ৪৬৫টি। জেলার সবকটি হাটে মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলার ৬টি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মেডিকেল টিমের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন।
পরশুরামের মজুমদার এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তার খামারে ২শ গরু বিক্রির জন্য বাজারে সরবরাহ করেছেন। বেচা বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে বিক্রি বেড়ে যাবে বলে তিনি মনে।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির হাটগুলোতে এবার গতবারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা অনেক বেশি। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর চাহিদা আগের তুলনায় কম। দেশী গরু কিনতে বেশী আগ্রহী ক্রেতারা। ছুটছেন ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশী গরু ও ছাগলের দিকে। দেশীয় খাদ্যে লালন-পালন হওয়ায় ওইসব গরুর প্রতি ঝোঁক ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন : ভোলার পশুর হাটে পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার ৬ উপজেলার ১২৯টি হাট-বাজারের নিরাপত্তায় পুলিশ সতর্কতা অবস্থানে রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড