মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
কমতে শুরু করেছে মুন্সীগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে চলা নদ-নদীর পানি। তবে পদ্মা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী অববাহিকার ঘরবাড়িতে এখনও বন্যার পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে জেলার ৩৩ হাজারের অধিক পরিবারের। দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি থাকায় রোজগার শূন্য হয়ে খাদ্য কষ্টে ভুগছে বানভাসিরা। সরকারি পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও তা দুর্গত মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ও মাওয়া পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত লৌহজং, শ্রীনগর, টঙ্গীবাড়ী ও সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের ১৭৮টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন ৩৩ হাজার ১৪৪টি পরিবার। এরমধ্যে চার উপজেলায় ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্রে মাত্র ৪৪৮টি বানভাসি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বাকি বানভাসিরা নিজ নিজ বাড়িতে ও বাড়ির পাশের উঁচু জায়গায় ও রাস্তায় পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন।
বন্যা কবলিত এলাকায় শিশু ও গর্ভবতী নারীরা পড়েছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। খাদ্য সংকটে ভুগছে গবাদি পশু। বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুর্গত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এদিকে, বন্যার পানির চাপে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া এলাকায় হাসাইল রোডের কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে ধস ঠেকানোর কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫
মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দ্বীপক কুমার রায় বলেন, এ পর্যন্ত বানভাসি পরিবারদের সহায়তায় ২৪৭ মেট্রিক টন চাল, ৪ হাজার বন্যার্ত পরিবারের জন্য শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা ও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৩ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড