• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভোলায় যুব উন্নয়ন উপপরিচালকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

  আদিল হোসেন তপু, ভোলা

২৭ জুলাই ২০২০, ২৩:৪৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাকরি দেওয়ার কথা বলে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভোলা যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তাকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় ভোলার নারী সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপ-পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদকর্মীদের ম্যানেজের চেষ্টা করেন।

মামলার এজাহারে কিশোরীর মা (বাদি)জানায়, তাঁর বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে। তিনি গ্রামের সহজ-সরল, অশিক্ষিত মহিলা। অসহায় দিনমজুর। অভাব-অনটনে সংসার চালান। তার মেয়েটি ছোট, প্রতিবন্ধী টাইপের। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে।

কাজের ফাঁকে পড়াশোনার শর্তে তাকে যুব উন্নয়নের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর উদ্দিনের বাসায় কাজে দেন। ভবিষতে শিক্ষিত হলে মেয়েকে চাকরি দেবেন। এ সব কথা বলে কাজে নিয়ে ৪ জুলাই সন্ধা ৭টার দিকে উপ-পরিচালক তাঁর মেয়েকে একটি ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে শরীরে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

মেয়ে চিৎকার করে দরজা খুলে পালিয়ে আসেন। এ ঘটনায় সহায়তা করেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. শাহাবুদ্দিন। থানায় মামলা দিতে গেলে কর্তব্যরতরা আদালতে মামলা করার সুপারিশ করেন।

এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

ভূক্তভোগিরা জানায়, আমরা পরিবারে অভাব অনটনের সংসার দেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. শাহাবুদ্দিন আমাদের বাড়িতে আসে আমার মেয়েকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। কিন্তু আমার মেয়েকে যে ধর্ষণের চেষ্টা করবে এই ঘটনা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমার শাহাবুদ্দিন সহ এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চাই।

এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টায় একজন সরকারি কর্মকর্তা জড়িত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ক্ষোভ জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ও নারী সংগঠন নেতৃবৃন্দ।

এ ব্যাপারে এডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলী বলেন, ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের একটি স্কুল শিক্ষার্থী একজন সরকারি কর্মকর্তা ধরা ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার কাছে যদি কোন মেয়ে নিরাপত্তা না পায় তাহলে সমাজ কোথায় যাবে। আমার দাবি আপরাধী সে সমাজের যত বড় কর্মকর্তাই হউক না কেন অপরাধ করলে যেন শাস্তি হয়।

জাতীয় মহিলা সংস্থা ভোলা জেলা এর সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ জাহান মুনমুন বলেন, যুব সমাজের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য সরকার যুব উন্নয়ন সৃষ্টি করেছে। সেখানে অনেক নারীরা প্রশিক্ষন নিতে যায়। একটি প্রতিষ্ঠানে প্রধানের বিরুদ্ধে যদি যৌন হয়রানি ধর্ষন এর চেষ্টার মতো অভিযোগ উঠে তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে প্রশিক্ষন নিতে যাওয়া নারীরা নিরাপদ নয়। তাই অপরাধীদের অপারাধের সর্বচ্চো শাস্তি দাবি করছি।

এই ঘটনায় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ সব ষড়যন্ত্র! তিনি ওই মেয়েকে চেনেন না। তাঁর অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা তাঁকে ভোলা থেকে বদলি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

এ দিকে জানা যায় যে, যুব উন্নয়নের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর উদ্দিন আহমেদ গাড়ি নষ্ট দেখিয়ে গ্যারেজে দীর্ঘদিন ফেলে রেখে সরকারি ভাবে বিল ভাউচার জমা দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাত করার চেষ্টা করছে।

ইতোমধ্যে তার বদলি অর্ডার হলেও তিন সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে ভোলাতেই অবস্থান করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড