নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি, বগুড়া
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণ ও আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত করার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে তাকে নন্দীগ্রাম থানা থেকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম উপজেলা ভাটগ্রাম ইউনিয়নের দেওতা গ্রামের মৃত লাজেম উদ্দিনের ছেলে।
এর পূর্বে রবিবার (১৯ জুলাই) ওই কিশোরী বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার (১৯ জুলাই) রাতেই রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাড়িয়াপুর গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়ির পাশে একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো রফিকুল ইসলাম। সেই সুবাদে ওই কিশোরীর সাথে রফিকুল ইসলামের প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় ওই কিশোরী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। এরপর ওই কিশোরী ও তার পরিবার রফিকুল ইসলামকে বিয়ে করার জন্য বারবার বললেও কোন সাড়া দেয়নি সে।
অবশেষে গর্ভের সন্তান নষ্ট করলে বিয়ে করবে বলে প্রস্তাব দেয় রাফিকুল ইসলাম। এই কৌশল করে রফিকুল গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ওষুধ ও গ্রাম্য ধাত্রীর সহায়তায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটায়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে রবিবার (১৯ জুলাই) ওই কিশোরী বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড