জামালপুর প্রতিনিধি
যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজানের পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবনতি। পানিতে তলিয়ে আছে সাত উপজেলার ৭ পৌরসভা ৫২টি ইউনিয়ন। বন্যায় ৮ লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশকে বাদ দিয়ে ত্রাণ বিতরণ। আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ বন্ধ।
যমুনা নদীর পানি বেড়ে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার ভয়াবহ অবনতি। লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গেছে। আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়ক পানিতে ডুবে যোগাযোগ বন্ধ। পানিতে ডুবে আছে গ্রামীণ হাট, বাজার দোকান পাট। বন্ধ আছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পানির তলিয়ে গেছে ৮ হাজার হেক্টর ফসলের মাঠ, গো চারণ ভূমি, বসতবাড়ি ,মাছে খামার। অধিকাংশ মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় খাদ্য সংকটে পরেছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা ও গো খাদ্যের তীব্র সংকট।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানায়, বন্যা দুর্গতরা ৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে তীব্র পানির তোড়ে জেলায় ১৪ হাজার ৫০০টি ঘর ভেঙ্গে গেছে। ৬২৫টি গ্রামের প্রায় ২লাখ ১৬হাজার পরিবার পানিতে নিমজ্জিত আছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন করে আরো ২লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত ভিজিএফ এর ৩হাজার ৪০৮ মেট্রিকটন চাল ৩০হাজার অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যা মোকাবিলা করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুত জেলা প্রশাসনের রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড