জামালপুরে দ্বিতীয় দফার বন্যা ক্রমাগত অবনতির দিকে

যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উজানের পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। সাত উপজেলার ৫ পৌরসভা ও ৩৫টি ইউনিয়ন । প্রতিদিনই নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানি বন্দি হয়ে আছে ৩ লাখ মানুষ।

জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়ে মঙ্গলবার সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জামালপুর সদর, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, সরিষাবাড়ি উপজেলার নতুন নতুন নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এত তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, বসতবাড়ি, মাছে খামার। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে ৩৫টি ইউনিয়নে, ২০০টি গ্রামের ৬০হাজার পরিবারের প্রায় ৩লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে। পানি বাড়ার কারণে আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ ও গবাদি পশুর প্রচুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানায়, বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০লাখ ৫০হাজার টাকা ও ৩১০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, জামালপুরে আরো পাঁচ দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এত করে জেলার আরো কিছু অঞ্চল প্লাবিত হবে। তবে উজানে যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় বন্যার সময় কাল আরো ১-২ দিন বাড়তে পারে।