• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জয়পুরহাটে কোরবানির জন্য মজুদ আছে দেড় লাখ পশু

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

১৩ জুলাই ২০২০, ১২:০৫
গরুর হাট (ছবি : সংগৃহীত)

মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে জয়পুরহাটে এক লাখ ২০ হাজার চাহিদার বিপরীতে কোরবানীর জন্য ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৭টি পশু মজুদ রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাটবাজারগুলোতে গরু, ছাগল উঠলেও কেনা-বেচা তেমন জমে উঠেনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানা যায়, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির আওতায় খামারীদের নিকট বর্তমানে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৮৭টি পশু মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পশু থাকবে অতিরিক্ত। ছোট বড় মিলে জেলায় ১১ হাজার ৪৭৪টি পশুর খামারে বিক্রয় উপযোগী মজুদ পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ রয়েছে ৬১ হাজার ২২৪টি। ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৮৬ হাজার ৬৩টি। ছোট বড় মিলে জেলায় পশুর হাট রয়েছে ২২টি।

জেলা শহরের সবচেয়ে বড় পশুরহাট নতুনহাটে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে শুরু করে উপরে ১০ লাখ টাকার গরু আমদানি হলেও বেচা-কেনা তেমন শুরু হয়নি বলে জানান হাটের ইজারাদাররা।

জানা যায়, সাধারণ মানুষ এখন অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন গরু, ছাগলের খামার করে। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা 'জাকস ফাউন্ডেশন' দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির আওতায় ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে।

জেলার নতুনহাট, জামালগঞ্জ, পাঁচবিবি, দূর্গাদহ, বটতলী, ইটাখোলা, পুনট, আক্কেলপুর কোরবানীর পশুরহাট সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানীর পশুরহাট তেমন জমে উঠেনি তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে কিছু গরু ব্যবসায়ী এসে স্বল্প পরিসরে গরু কেনা শুরু করেছেন। বাজারে ১১০ থেকে ১২০ কেজি মাংস হবে এমন গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় খামারীরা চিন্তিত বলে জানান সদর উপজেলার খামারী বেলাল হোসেন ও পুরানাপৈলের আখতার ।

গরুর পাশাপাশি ছাগলও উঠেছে বাজারে। ১৫ থেকে ২৫ কেজি মাংস হবে এমন ছাগল ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার পর্যন্ত দাম করতে দেখা গেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত সময়ে যাতে পশু কেনা করা যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ইজাদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভ্যাটেনারী সার্জনের নেতৃত্বে ৩ থেকে ৫ সদস্যের টিম সার্বক্ষণিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। বাজারের আইন-শৃংখলা রক্ষায় পশুর হাট কমিটির পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারী রয়েছে হাটবাজারগুলোতে। হাটে ভারতীয় গরু এখনো চোখে পড়েনি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড