সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনার পানি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
প্রথম দফার ধকল কাটিয়ে না ওঠার আগেই দ্বিতীয় দফা বন্যা শুরু হওয়ায় পানিবন্দী মানুষ জবিন দুর্বিসহ উঠছে। চরাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষ দিনরাত পানিতে থাকায় পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও দুর্ভোগ বেড়েছে। বন্যার সময় চরাঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। কিন্তু দরিদ্র এসব মানুষের সকলের নৌকা না থাকায় অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। অসুখ বা জরুরী প্রয়োজনে নিরুপায় হয়ে থাকছে।
রান্নার চুলা ও জ্বালানি খড়কুটা নষ্ট হওয়ায় ঠিকমত রান্নাও করতে পারছে না। এতে অনেকে অর্ধাহারে থাকছে। আবার ওয়াপদাবাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষের টিউবওয়েল সংকট থাকায় অনেকে যমুনা নদীর পানি পান করছে। এতে পীটের পীড়াসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ফসলী জমি। বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিতরা কষ্ট থাকলেও এখনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি তাদের ঘরে।
শহরের ওয়াপদাবাধ এলাকায় মালেকা ও জাহেরা খাতুন জানান, প্রায় ১৬দিন যাবত বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। টিউবওয়েল না থাকায় নদীর পানি দিয়ে রান্না-বান্নাসহ খেতেও হচ্ছে। এতে অনেকের পীটের পীড়া ও ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে। এতো কষ্টে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। করোনা কারো কাজ নেই। একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টা যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড