লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করছে। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে।শনিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ৫২:৬০ সেন্টিমিটার। বর্তমান পানি প্রবাহ ৫২:৮৫ সেন্টিমিটার। গতকাল রাতে পানি প্রবাহ বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তার ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু উজানের পানির তোড়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। অনেকে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান তার প্রতিষ্ঠিত কলেজ গড্ডিমারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন কলেজ বেসরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেখানে পানিবন্দি অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ইমান আলী ও শুকুর আলীর স্ত্রী অবিরন নেছা বলেন, গতকালে আকর্ষিক বন্যায় আমরা পানিবন্দি হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি। কিন্তু আজ অবধি কেউ আমাদের খোজ-খবর নিতে আসেনি।
এদিকে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, বন্যায় আশ্রয় নেয়া লোকজনের মাঝে শনিবার সকালে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ নয়, বন্যা থেকে রক্ষায় তিস্তার বাম তীরে বাধ জরুরী প্রয়োজন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, শুক্রবার রাতে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানানো জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ এসেছে, যা বন্যায় পানিবন্দি লোকজনের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়া গড্ডিমারী বাঁধ রক্ষায় বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড